নিজেদেরশাসনের গোধূলি লগ্নে এসে ব্রিটিশ সরকারও বুঝে যায় যে সাংস্কৃতিকভাবে ভারতীয়উপমহাদেশে গাঁজার গুরুত্ব এতটাই যে, একে পুরোপুরি নিষিদ্ধ করা সম্ভব নয়।
ঐতিহ্যবাহী মাটির চিলুম থেকে গাঁজা সেবন করছেন শিবের একজন তপস্বী ভক্ত। |
ঘন, মাখনের মতো মোলায়েম এবং জাফরান ও কাঠবাদাম সমৃদ্ধ—ভাং ঠান্ডাই এতটাই মিষ্টি যে প্রথম প্রচেষ্টায়এই পানীয়ের গোপন উপাদান শনাক্ত করতে পারা প্রায় অসম্ভব।
কিন্তুদুই-এক চুমুক দেওয়ারপর আত্মপ্রকাশ করতে শুরু করে এর ভেতরকার প্রকৃতনির্যাস : মসলাদার, কিছুটা মৃগনাভির গন্ধযুক্ত। বুঝতে পারলেন না? এটিই তো গাঁজার 'সিগনেচার' গন্ধ! আরমিনিট কয়েক বাদে পানকারী 'হাই' হতে শুরু করে, স্বপ্নালু চোখে আশপাশের সবকিছুকে তার মনে হয় হোলির রঙেরমতোই রঙিন। ভাংঠান্ডাই ভারতের একটি 'উৎসবি' পানীয়। বিশেষত উত্তর ভারতের হোলি উদযাপন এই পানীয় ছাড়াচিন্তাই করা যায় না। তাই বলাই বাহুল্য, ভাঙ ঠান্ডাই আমাদের এই দক্ষিণ এশিয়ার'গাঁজা সংস্কৃতি'র একটি অবিচ্ছেদ্যঅংশ, যার শেকড় প্রোথিত রয়েছে সুদূর অতীতে। দক্ষিণএশিয়ায় গাঁজার অস্তিত্বের উল্লেখ পাওয়া যায় সেই খ্রিস্টপূর্ব ১৫০০ সালেও। অথর্ববেদে একে বলা হয় 'পাঁচটি পবিত্র গাছের একটি'। শিখ সৈন্যদলও মুঘল রাজাদের প্রিয় এই গাঁজা দক্ষিণভারতজুড়ে বিভিন্ন ধর্মেরও আধ্যাত্মিক চর্চার অংশ। শিবের অনুসারীরা ধূমপানে গাঁজা ব্যবহার করে থাকে তাঁদের প্রিয় দেবতার অনুকরণে, আবার সুফিবাদের অনুসারীদের কাছেও এটি ঐশ্বরিক সংযোগ স্থাপনের গুরুত্বপূর্ণ অনুষঙ্গ। আজকেরদিনে সহজেই খোঁজ মেলে ভাঙ রেসিপির। তাছাড়া গাঁজা গাছের পাতা দিয়ে সৃষ্ট এই পানীয় বৈধতো অবশ্যই, অনেক সংস্কৃতিতে গ্রহণযোগ্যও বটে। কিন্তু তারপরও, ব্রিটিশ উপনিবাশবাদ দক্ষিণ এশিয়ায় গাঁজার প্রতি আধুনিক দৃষ্টিভঙ্গির কাঠামো তৈরি করে দিয়েছে। সেই একই পথে হেঁটেছে বাকি বিশ্বের অধিকাংশ অঞ্চলও উনিশশোশতকের শেষের দিকে ভারতের খানদেশে গাঁজার দোকান। উইলিয়ামব্রুক ও'শাফনেসির ছিলভাঙ রেসিপির ব্যাপারে অগাধ জ্ঞান। ইংল্যান্ডে ১৯৩০-এর দশকে ও'শাফনেসি ছিলেন এডিনবরার এক তরুণ গ্র্যাজুয়েট, যিনি একজন চতুর কেমিস্টের স্বীকৃতিও জুটিয়ে ফেলেছিলেন। কিন্তু তারপরও যখন তিনি লন্ডনে কাজের লাইসেন্স পেলেন না, তখন অন্য অনেক ব্রিটিশ তরুণের মতোই পাততাড়ি গুটিয়ে রওনা দেন ব্রিটিশ অধ্যুষিত উপনিবেশ অভিমুখে। যেসময়ের কথা বলছি, ভারতবর্ষ তখনও ইস্ট ইন্ডিয়ার অধীনে; আনুষ্ঠানিকভাবে ব্রিটিশ রাজমুকুট অধিষ্ঠিত হয়নি এ অঞ্চলের শিরে।কিন্তু তারপরও, ব্রিটিশ অভিজাতরা ভারতের স্থানীয় সম্ভ্রান্ত ব্যক্তিদের সঙ্গে নিয়ে ঔপনিবেশিক রাজধানী কলকাতায় শুরু করেছিল এক শিক্ষা মিশন।তাদের উদ্দেশ্য ছিল এই উপমহাদেশ সম্পর্কেযাবতীয় জ্ঞান অর্জন করতে, যেন ভারতীয়দের শাসন করা ও নিজেদের নিয়ন্ত্রণেনিয়ে আসার কাজটা সহজ হয়। তরুণচিকিৎসক ও'শাফনেসিও ব্যতিক্রমছিলেন না। কলকাতায় আগমনের পর তিনি মেডিকেলকলেজ হাসপাতালে একটি পদাধিকার গ্রহণ করেন, এবং তারপর নিজের পড়াশোনার প্রধান বিষয়বস্তু হিসেবে পাখির চোখ করেন ভারতীয় চিকিৎসা বিদ্যা ও রন্ধনপ্রণালীর একতাৎপর্যবাহী উপাদানকে। বুঝতেই পারছেন, সেটি হলো গাঁজা। ওইসময়ে গাঁজার ব্যবহার ছিল ইংল্যান্ডে একদমই অপ্রচলিত। ব্রিটিশরাও গাঁজাকে দেখত সন্দেহের চোখে। তারা ভয় পেত, গাঁজাহয়তো সেবনকারীকে পাগল বা বদ্ধ উন্মাদকরে দেবে। তাছাড়া উনিশ শতকের ঔপনিবেশিকরা গাঁজাকে উপনিবেশ শক্তির জন্য হুমকিস্বরূপ বলেও মনে করতেন। ১৮৮৫সালে তৎকালীন বোম্বের একটি সংবাদপত্র ঘোষণা দেয়, "ভারতীয় গাঁজার প্রভাবে মানুষের খুনে প্রবণতা খুব ঘনঘনই দেখা যাচ্ছে।" এদিকে এলাহাবাদের একটি সংবাদপত্রেও লেখা হয়, "ভারতের পাগলাগারদগুলো ছেয়ে গেছে গাঁজা সেবনকারীতে।"
এসবতথ্য হয়তো ভুল নয়, কিন্তু এ থেকে এটিওতো নিশ্চিত করে বলা যায় না যে গাঁজাইমানুষের পাগলামির কারণ। বরং এমনটাই বেশি দেখা যেত যে 'নেটিভ-অনলি' ঔপনিবেশিক পাগলাগারদে স্রেফ গাঁজা সেবনের 'অপরাধে' অনেক ভারতীয়কে পাগল ঠাউরে আটকে রাখা হচ্ছে। ভারতেরবেনারসে ভাং ঠান্ডাই এর দোকান। তবেযেমনটি বলছিলাম, ভারতীয় জনগোষ্ঠীকে নিজেদের নিয়ন্ত্রণে আনার উদ্দেশ্যে ব্রিটিশ ঔপনিবেশিকরা যেকোনো জ্ঞান আহরণেই ছিল এক পায়ে খাড়া! তাই বিশাল পরিসরে নিজের গবেষণাকর্ম সাজান ও'শাফনেসি, যারফলাফল তুলে ধরে তিনি লেখেন ১৮৪২ সালের 'দ্য বেঙ্গল ডিসপেনসেটরি' বইটি। ভারতীয়সহকর্মীদের সঙ্গে সাক্ষাৎকারের উপর ভিত্তি করে বইটি লিখেছিলেন ও'শাফনেসি। সেখানেগাঁজা গাছের বর্ণনা ছাড়াও তিনি তুলে ধরেছিলেন সংস্কৃত, আরবি ও ফারসি ভাষায়গাঁজা-সংশ্লিষ্ট বিভিন্ন সাহিত্যিক নিদর্শন। তাছাড়া গাঁজার নানা রেসিপিও তিনি এতটাই সবিস্তারে তুলে ধরেছিলেন যে, সেগুলো অনুসরণ করে কোনো খাবার বা পানীয় বানাতেগেলে বর্তমান সময়ের শ্রেষ্ঠ রাঁধুনিরাও হিমশিম খাবে। ভাঙঠান্ডাইয়ের মতোই পানযোগ্য গাঁজার রেসিপি ছিল সিদ্ধি, সবজি ও ভাঙ। ও'শাফনেসি লেখেন, "প্রায় তিন তোলা গাঁজার বীজকে ঠান্ডা পানিতে ভালোভাবে ধুয়ে নিয়ে গুঁড়ো করতে হবে। এরপর সেই গুঁড়োকে মেশাতে হবে গোল মরিচ, শসা, তরমুজের বিচি, চিনি, আধা পিন্ট (২৩৬.৫৯ মি.লি.) এবং সমপরিমাণ পানি। এইটুকুই একজন ব্যক্তিকে নেশাগ্রস্ত করে তুলতে যথেষ্ট। এর অর্ধেক দিয়েএকজন আনকোরা ব্যক্তিকেও নেশাগ্রস্ত করে তোলা সম্ভব।" তিনিএকই ধরনের বিস্তারিত বর্ণনা দেন গাঁজা-মিশ্রিত দুধের একটি মিষ্টান্ন মা'জুন সম্পর্কেও।জানিয়ে রাখা ভালো, এই মিষ্টিটি ছিলমুঘল সম্রাট হুমায়ুনের প্রিয় নেশাদ্রব্য। প্রথমে গাঁজার ঘি বানানোর রেসিপিবিবৃত করে ও'শাফনেসি লেখেন, "এরপর নির্মাতাকে দুই পাউন্ড চিনি নিতে হবে... যখন চিনি দ্রবীভূত হয়ে যাবে এবং ফেনা উঠবে, তখন দুই আউন্স দুধ যোগ করতে হবে। এরপর বেশ খানিকটা ঘন সর উঠবে, যা তুলে ফেলতে হবে।" ও'শাফনেসি আরও লেখেন, এরপর রাঁধুনিকে গাঁজার মাখন যোগ করতে হবে, তারপর সেই মিশ্রণকে একটি প্যানে ঢেলে ঠান্ডা করতে হবে। তারপর সেই মিশ্রণকে টুকরো টুকরো করে কেটে উপভোগ করতে হবে। যদিওও'শাফনেসি এ ধরনের নেশাদ্রব্যগ্রহণের বিরুদ্ধে কথা বলেন, তবে তিনি এ কথাও উল্লেখকরতে ভোলেন না যে ভাঙখেয়ে নেশাগ্রস্ত হওয়া হলো "সবচেয়ে আনন্দময় অভিজ্ঞতা, যার ফলে একজন ব্যক্তি গাইতে ও নাচতে শুরুকরে, তৃপ্তি ভরে খাবার খায়, এবং কামোদ্দীপনা অনুভব করে"। অর্থাৎও'শাফনেসি নিজেও ভাঙের স্বাদ গ্রহণ করেছিলেন ঠিকই, তাই তো তিনি এসবজানতেন। গাঁজার রেসিপি সংগ্রহের পাশাপাশি তিনি সিদ্ধান্ত নিয়েছিলেন বিভিন্ন পরীক্ষা-নিরীক্ষা করার, যেন এসব নেশাদ্রব্যের প্রভাব সম্পর্কে ফার্স্ট-হ্যান্ড অভিজ্ঞতা লাভ করতে পারেন। মেডিকেলকলেজ হাসপাতালের পদাধিকার বলে ও'শাফনেসি বিভিন্নরোগীকে নিযুক্ত করতেন তার এক্সপেরিমেন্টের অংশ হিসেবে। কোনো কোনো বিশেষজ্ঞের মতে, এটিই ছিল আধুনিক চিকিৎসাবিজ্ঞানের ইতিহাসে গাঁজা বিষয়ক প্রথম ক্লিনিক্যাল এক্সপেরিমেন্ট। তবে এই এক্সপেরিমেন্টকে কোনোভাবেই বিতর্কাতিতবলা যাবে না। কেননা ও'শাফনেসি অনেকসময় তার এই গবেষণায় সাবজেক্টহিসেবে ছোট ছোট বাচ্চা এবং নেশাতুর কুকুরদেরও নিতেন। ১৮৩৯থেকে ১৮৪৩ সালের মধ্যে প্রকাশিত নানা নিবন্ধে ও'শাফনেসি সবিস্তারেতার গবেষণার ফলাফল তুলে ধরেন। সেখানে খিঁচুনি, বাত ও কলেরার নিরামকহিসেবে গাঁজার সম্ভাব্যতার কথাও তিনি উল্লেখ করেন। ও'শাফনেসির গবেষণার নোটগুলো বেশ মজাদার। সেখানে তিনি তার অভিজ্ঞতার কথা টুকে রাখতেন। যেমন : একটি কুকুরকে নেপালি সিদ্ধি গেলানোর পর সেটি কেমনঘুমকাতুরে হয়ে উঠত, নির্বোধের মতো আচরণ করত, বারবার হাই তুলত, এবং হা-ভাতের মতোখেতে থাকত।
তবেএসব হাস্যকর ফলাফলের পাশাপাশি, ও'শাফনেসি বেশগুরুত্বপূর্ণ একটি তথ্যও উদঘাটন করেন—নবজাতক শিশুদের খিঁচুনি নিরাময়ে কার্যকর গাঁজা। এবং তার এই উদঘাটন অত্যন্ততাৎপর্যবাহী এ কারণে যে, ইউ এস ফুড অ্যান্ডড্রাগ অ্যাডমিনিস্ট্রেশনও ঠিক একই ধরনের সিদ্ধান্তেই পৌঁছেছে, ও'শাফনেসির চেয়ে১৭০ বছরেরও বেশি সময় পরে! |
গাঁজাদিয়ে তৈরি দুধের মিষ্টি, নাম ভাং কি পাটি কাপেদা। আজও দক্ষিণ এশিয়ায় তৈরি এবং খাওয়া হয়।
১৮৯৪সালে ব্রিটিশ সরকারের পক্ষ থেকে প্রকাশিত হয় 'রিপোর্ট অব দ্য ইন্ডিয়ানহেম্প ড্রাগস কমিশন'। এর মাধ্যমেইগাঁজা যে মানুষের মাঝেখুনে প্রবৃত্তি জাগ্রত করে, সে ধরনের ভ্রান্তধারণার বিনাশ ঘটে। জরিপের মাধ্যমে উপমহাদেশের সহস্রাধিক ব্রিটিশ ও ভারতীয় উৎসেরকাছ থেকে পাওয়া তথ্য বিশ্লেষণ করে প্রতিবেদনটি এই সিদ্ধান্তে পৌঁছায়: "এই দাবিটি যথাযথ প্রমাণসাপেক্ষে গ্রহণযোগ্য হতে পারে যে অন্যান্য প্রভাবেরঅনুপস্থিতিতে গাঁজার নেশাদ্রব্যগুলো পাগলামির কারণ হতে পারে," কিন্তু গাঁজা পরিমিত পরিমাণে ঠিকই সেবন করা যেতে পারে।
প্রতিবেদনেরশেষদিকে বলা হয়, "এটি কোনো পূর্ব-নির্ধারিত বিষয় নয় যে এইনেশাদ্রব্যগুলো অপরাধ ও সহিংসতা ঘটাবেই।"
নিজেদেরশাসনের গোধূলি লগ্নে এসে ব্রিটিশ সরকারও বুঝে যায় যে সাংস্কৃতিকভাবে ভারতীয়উপমহাদেশে গাঁজার গুরুত্ব এতটাই যে, একে পুরোপুরি নিষিদ্ধ করা সম্ভব নয়। এদিকে গাঁজার ব্যবহারকে কোনো নিয়ম-নীতিমালার আওতায় নিয়ে আসা ও তা নিয়ন্ত্রণকরাও দুঃসাধ্য ব্যাপার। তাই তারা এসব প্রচেষ্টা পুরোপুরি বাদ দেয়।
কিন্তুতারপরও, গাঁজার প্রতি পশ্চিমাদের যে বিদ্বেষ ভাব, তা স্বাধীনতার সাত দশকেরও বেশি সময় পার হয়ে যাওয়ার পরও তাড়া করে বেড়াচ্ছে ভারতীয়দের। আর যুক্তরাষ্ট্র ওব্রিটেনে গাঁজা সেবনকারীদের প্রতি সমাজের যে দৃষ্টিভঙ্গি, তাঅনেকটা বর্ণবাদেরই শামিল।
১৯৬১সালে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা বিশ্বব্যাপী মাদকের ব্যবহার রোধকরণের অংশ হিসেবে 'সিঙ্গেল কনভেনশন অন নারকোটিক ড্রাগস'-এর কমিশন দেয়।গাঁজাকে সবচেয়ে ভয়ঙ্কর ও নিষিদ্ধ ক্যাটাগরিতেশ্রেণিভুক্ত করার মাধ্যমে তারা গাঁজার ভয়াবহতা সম্পর্কে পশ্চিমা বিশ্বাসকেই আঁকড়ে ধরেছে। তাছাড়া দক্ষিণ এশীয়রা যে তাদের নিজেদেরমতো করে গাঁজার ব্যবহারকে নিয়ন্ত্রণ করতে চায়, সেই দাবিরও পরিপন্থী বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার এই সিদ্ধান্ত।
বর্তমানেভারতে বিদ্যমান মাদক আইন যেন এক ধরনের 'সমঝোতা'-র আশ্রয় নিতেচাইছে। তারা একই সঙ্গে প্রভাবিত বৈশ্বিক মাদক নীতিমালা দ্বারা, আবার কিছু অভিজাত সম্প্রদায়ের ভারতীয়ের এমন ঐতিহাসিক বিশ্বাসকেও পুরোপুরি বিদায় জানাতে পারছে না যে গাঁজাথেকে উদ্ভূত নেশাদ্রব্যকে ধূমপান করার চেয়ে আক্ষরিক অর্থেই খাওয়া সামাজিকভাবে বেশি গ্রহণযোগ্য। তাই তো প্রায় সমগ্রভারত জুড়েই বর্তমানে মারিজুয়ানা গাছের পাতা ব্যবহার বা সেগুলো দিয়েভাঙ বানানো আইনত বৈধ, কিন্তু এর রজন বাকুঁড়িকে ধূমপান করা নিষিদ্ধ।
0 Comments