শিরোনাম

10/recent/ticker-posts

Header Ads Widget

জ্বর, সর্দি,কাশি ও গলা ব্যাথার সমস্যায় চিন্তিত? চিন্তা নেই ঘরোয়া উপাদানই এই সব সমস্যা নির্মূল সম্ভব। কিভাবে? আসুন জেনে নেই...

 জ্বর, সর্দি,কাশি গলা ব্যাথারসমস্যায় চিন্তিত? চিন্তা নেই ঘরোয়া উপাদানই এই সব সমস্যানির্মূল সম্ভব। কিভাবে? আসুন জেনে নেই...


তিনবছরের ছোট্ট মেয়ে আরিশা। হঠাৎ জ্বর ঠান্ডা তার।শীতের শুরুতে শীতের শেষেপ্রায় ছোট বড় সবারই এমনটাহয়। তারপরও আরিশার মা সোহিনীর টেনশানহচ্ছে মেয়েকে নিয়ে। সোহিনী টুকটাক ঘরোয়া টোটকা জানে।  ঋতুপরিবর্তনের জন্য সর্দি, কাশি, জ্বর, পেট খারাপ হয় তা ঘরোয়াটোটকায় সহজেই নিরাময় করা যায়। তাই মেয়ের জ্বর ঠান্ডা নিরাময়েসোহিনী প্রথমে ঘরোয়া টোটকা ব্যবহার করাই উচিত বলে মনে করে। জ্বর, সর্দি, কাশির শুরুতে ঘরোয়া টোটকা বেশ ভালো কাজ করে এবং এগুলো শরীরের জন্য ক্ষতিকরও নয়। আর সঠিক প্রয়োগেরমাধ্যমে ফলাফলও ভালো পাওয়া যায়। তাই এই সব টুকটাকশরীর খারাপে প্রথমেই ডাক্তারের শরনাপন্ন হবার আগে ঘরোয়া উপাচার ভালো ফলদায়ক হয়। সামান্য জ্বর, গলা ব্যথা, শরীর ব্যথা বা ম্যাজ ম্যাজকরায় আমরা তারাতাড়ি সুস্থ হবার জন্য অ্যান্টিবায়টিক খেয়ে নেই। যা একেবারেই ঠিকনা। এতে রোগপ্রতিরোধ ক্ষমতা কমে যায়।কিন্তু ঘরোয়া টোটকায় কোন রকম পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া ছাড়াই রোগ নিরাময়ে সহায়তা করে।


জ্বরবড় ছোট সবারই যে কোন শারীরিকসমস্যার উপসর্গ হিসাবে দেখা দেয়। শিশুদের যে শুধু সিজনচেঞ্জের জন্যই  জ্বরহয় তা কিন্তু নয়।টিকা দিলে, ঠান্ডা বা সর্দি লাগলে, পেটের সমস্যায় মোট কথায় যে কোন সমস্যায়জ্বর উপসর্গ হিসাবে আসতে পারে। কিন্তু এই জ্বরের তাপমাত্রাবেশি হলে মস্তিষ্কে রক্তক্ষরণ সহ নানা রকমশারীরিক সমস্যা হতে পারে। তাই সামান্য শরীর খারাপ হলেই ঘরোয়া চিকিৎসা খুবই উপকারী।

নিম্নোক্তউপায়ে ঘরোয়া টোটকা ব্যবহার করে নানা রকম রোগের নিরাময় অল্পেই সম্ভব। যেমন -

 

 জ্বর, সর্দি গলা ব্যাথায়ঘরোয়া টোটকার ব্যবহার -

 

 সকলরোগের প্রথম উপসর্গ মূলত জ্বরই হয়ে থাকে। সর্দি লাগলেও জ্বর জ্বর ভাব হতে পারে আবার গলা ব্যথা করলেও জ্বর আসতে পারে এমন কি পেটের সমস্যাওশরীর গরম হতে পারে। তাই জ্বর হলে প্রথমেই আতঙ্কিত না হয়ে এটারকারন খুঁজে বের করা আবশ্যক।

 

 

 তাই জ্বর হলে প্রাথমিক চিকিৎসায় প্রথমেই ঘরোয়া উপায়ে যা যা করণীয়তা হলো :-

 

 

জলপট্টিদেয়া : জ্বর হলে জলপট্টি দেয়া অতি প্রাচীনকাল থেকে প্রচলিত একটি টোটকা। একটা পাতলা কাপড় ঠান্ডা জলে অর্থাৎ বরফ দেয়া জলে ভিজিয়ে ভালো করে  পানিনিংড়ে নিয়ে বারবার কপালে দিলে জ্বর কমে আসে।

 

 

বেশিবেশি জল খাওয়া : জ্বরহলে ঠোঁট শুকিয়ে যায় অনেকের এবং চোখ মুখ শুকায় যায়। তাই জ্বর আসলে বার বার পানি পান করা উচিত।  সর্দিথাকলে হালকা গরম পানি খাওয়া উচিত

 

 

লেবু মধুর মিশ্রণে শরবত খাওয়া : জ্বর আসলে ভিটামিন - সি জাতীয় খাবারবা শরবত বেশি বেশি খাওয়া উচিত। আর লেবু ভিটামিন-সি এর চাহিদাপূরণ করতে পারে খুব ভালো করে আর স্বাস্থ্য সুরক্ষায় নানা রকম রোগ নিরাময়ে মধুর রয়েছে অপরিসীম গুন। তাই জ্বর আসলে লেবু মধুর মিশিয়েশরবত পান করা স্বাস্থ্যের জন্য উপকারী।

 

 

ডিলেডালাজমা কাপড় পরিধান করা : জ্বরের সময় ডিলেডালা জামা কাপড় পরা উচিত। যাতে বাতাস শরীরে লাগে।  আরজ্বর কমে আসতে থাকলে প্রচন্ড ঘাম দেয়।  তখনতারাতাড়ি ঘাম পরিস্কার না করলে শিশুদেরতো অবশ্যই বড়দেরও আবার জ্বর চলে আসতে পারে।এই জন্য একটা ডিলেডালা পোশাক পড়া উচিত।

 

 

সরিষারতেল রসুনের ম্যাসাজ: প্রচন্ড জ্বরে অনেক সময় হাত পায়ের তালুঠান্ডা হয়ে যায়। তাই সামান্য সরিষার তেলে কয়েকটুকরা রসুন তেল গরমের সময় দিয়ে সেই তেল হাতের তালু পায়ের তালুতে দিয়ে মালিশ করলেও ভালো উপকার পাওয়া যা যাবে।

 

 

শরীরপানি দিয়ে মুছে নেয়া : জ্বর বেশি আসলে সারা শরীর মুছো দেয়া উচিত। দরকার হলে গোসলও করে নেয়া যেতে পারে, এত দ্রুত জ্বরকমে যায়।

 

 

এবারআসা যাক সর্দি গলা ব্যথাহলে ঘরোয়া টোটকায় চটজলদি কি করে স্বস্তিপাওয়া যায়। যাদের (বড় ছোট) এজমার সমস্যা রয়েছে  বাঠান্ডা লাগার ধাঁত আছে তারা একটু বৃষ্টি হলে  বাবর্ষার স্যাঁতস্যাঁতে আবহাওয়ায়  বাসামান্য শীতেই  গলাব্যথা সর্দি কাশিরসমস্যায় ভুগেন। অনেকেই এটাকে নিত্যনৈমেত্তিক ব্যাপার মনে করে অবহেলা করেন, যা একেবারেই ঠিকনয়। তাই অল্প থাকতেই ঘরোয়া চিকিৎসার মাধ্যমে সহজেই এই সমস্যা উপশমকরা যায়। নিম্নে সে বিষয়েই আলোচনাকরা হলো ----

 

 

মধু-  প্রকৃতিরবিশেষগুণে ভরপুর হলো মধু।  শুধুমাত্র সর্দি কাশিতেই না চুল ত্বকের যত্নেও মধুর যথাযথ ব্যবহার হয়ে থাকে। অতি প্রচীন কাল থেকে প্রায় দেশেই মধুর ব্যাপক কার্যকরী প্রয়োগ হয়ে আসছে। যেমন -

 

/ মধু শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ায়, /কোষ্ঠকাঠিন্য কমায়, /অবলের সমস্যা দূর করে, /অনিদ্রা দূরকরে, অরুচি বমিভাব দূর৷করতে মধু খুবই কার্যকর / শারীরিক দূর্বলতা,দূর করে শক্তি বাড়াতেসহায়তা করে / শরীরের তাপমাত্রাবৃদ্ধি করে শরীরকে করো তুলে সতেজ, সুস্থ কর্মক্ষম / ব্যত ব্যথা উপশমে সহায়তা করে / শিশুদের দৈহিকগড়ন ওজন বৃদ্ধিসহ শিশুদের প্রতিদিন অল্প অল্প মধু খাওয়ালে ঠান্ডা, সর্দি, কাশি জ্বর সহজেহয় না।

 

মোটকথায়, মধু ছোট বড় সকলবয়সের সবার জ্বর, সর্দি গলা ব্যথা হাঁপানিসহ ঠান্ডাজনিত যে কোন সমস্যায়মহাঔষধ হিসাবে কাজ করে। তাই নিম্নে মধু কিভাবে খেলে কার্যকরী উপকার পাওয়া যায় তা দেয়া হলো---

 

/ মধু হচ্ছে উচ্চ ঔষধি গুণ সম্পন্ন একটি ভেষজ উপাদান।  তাইপ্রতিদিন চামচ করেমধু খাওয়ার অভ্যাস করা ভালো। দিনের যে কোন সময়ইমধু খাওয়া যেতে পারে। এতে শ্বাস নালীর সমস্যা দূর হয় সাথে সর্দিকাশিও।

 

 

প্রতিদিনসকালে খালি পেটে উষ্ণ গরম পানির সাথে একটি লেবুর রস চামচ মধু খেলে শরীরের মেদ কাটে ওজন হ্রাসহয় বলে ধারনা করা হয়। তবে ওজন কমুক আর নাই কমুমজ্বর বা সর্দি উপশমেকার্যকর তা পরীক্ষিত।

 

 

/ মধু শরীরের তাপমাত্রা বাড়ায়। এতে শ্বাস যন্ত্রের ব্যাকটেরিয়া দূর হয় এবং বুকথেকে কফ বা শ্লেষ্মাদূর করে গলা বুক পরিস্কারকরে।

 

 

/ মশলাদার ( আদা, লবঙ্গ, দারুচিনি, তেজপাতা) চায়ের সাথে এক চামচ মধুমিশিয়ে নিলেও উপকার পাওয়া যায়।

 

 

আদা- আদা রান্নার কাজে ব্যবহৃত খুবই উপকারী গুরুত্তপূর্ণ একটিমশলা। এটি শুধু খাবারের স্বাদ বৃদ্ধি করে তা নয়। আদামাবন শরীরের জন্য ঔষধি হিসাবেও পরিচিত।

 

 

আদায়রয়েছে অ্যান্টিব্যকটিরিয়াল অ্যান্টি ইমফ্লেমেটরিউপাদান। এই উপাদান গুলোথাকার কারনে আদা গলার গ্ল্যান্ড ফুলে যাওয়া নানা রকমব্যাকটেরিয়ার সংক্রামন প্রতিরোধে সহায়তা করে সুস্থ রাখে।

 

 

ঠান্ডায়গলা ব্যথা কাশি হলেসামান্য আদা কুচি সিন্দুক লবন দিয়ে চিবালে আদার রসে ভালো উপকার পাওয়া যায়।

 

 

হলুদ  হলুদহলো অতি আবশ্যকিয় মশলা। আমরা বাংঙ্গালিরা হলুদ ছাড়া রান্নার কথা চিন্তাই করতে পারি না। হলুদের মধ্যে একধরনের আরোগ্য শক্তি রয়েছে। এটি শরীরের মেটাবলিজম বাড়ায় এবং রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ায়।

 

 এটি ব্যাকটেরিয়ার সংক্রামন রোধে সহায়তা করে। তাই কোথাও আঘাত পেলে বা ক্ষত হলেহলুদ দুধে মিশিয়ে খাওয়া হয়। হলুদে রয়েছে অ্যান্টি অক্সিডেন্ট, অ্যান্টি ইমফ্লামেটরি কারকুমিন নামকউপাদান রয়েছে। এটি ক্যান্সার প্রতিরোধক হিসাবে কাজ করে এবং ত্বকের বলিরেখা দূর করে, উজ্জলতা বাড়ায় এবং গলা বুকের খুসখুসেঅস্বস্থি, জ্বালা ব্যথা দূরকরতে সহায়তা করে।

 

তাইপ্রতিদিন দুধের সাথে এক চামচ হলুদগুড়া মিশিয়ে খেলে সর্দি গলা ব্যথাসহ আরও নানা রোগের উপশম হয়।  এরসাথে সম্ভব হলে দুই চামচ মধু সামান্য গোলমরিচ গুড়া মিশিয়ে খেলে তারাতাড়ি উপকার পাওয়া যাবে।

 

 

ঘি রসুন - নানা পুষ্টিগুণসম্পন্ন রসুন শুধুমাত্র রান্নার মশলা হিসাবেই ব্যবহৃত হয় না, এররয়েছে নানা ঔষধি গুণও। রসুনে যে উপাদান রয়েছেতা মূলত ক্যান্সার প্রতিরোধের এক মহা ওষুধ।রান্না করা রসুনের চেয়ে কাঁচা রসুন শরীরের জন্য খুবই উপকারী। প্রতিদিন এক কোয়া রসুনখেলে রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে থাকে হার্ট সুস্থথাকে।

 

রসুনেযেসকল গুরুত্বপূর্ণ উপাদান রয়েছে সেগুলো হলো ----------

 

অ্যান্টিঅক্সিডেনক্যালসিয়াম, কপার, পটাশিয়াম, ফসফরাস, আয়রন, ভিটামিন - B1, ভিটামিন -  C সহঅ্যালিসিনা নাম এক প্রকার কমপাউন্ডযা বিভিন্ন রোগ প্রতিরোধে সহায়তা করে। রয়েছে অ্যান্টি ভাইরাল অ্যান্টি অক্সিডেন্টপ্রোপার্টি যা বিভিন্ন রকমেরইনফেকশন চিকিৎসায় কর্যকরী।

 

রসুনেবর্তমান এই উপাদান গুলোফ্লু কমন কোল্ডতাড়াতাড়ি সারাতে সহায়তা করে।

 

হঠাৎখুস খুস কাশি হলে এক চামচ ঘিয়েকয়েক কোয়া রসুন ভেজে ঘি সহ খেলেখুস খুস কাশি সেরে যায়।

 

এছাড়াশীতে আমাদের ঠান্ডা লাগার প্রবনতা বেড়ে যায়।তাই এই সময় সকালেএক কোয়া রসুন খাওয়ার উপকার অনেক। এক মাস রেগুলারখালি পেটে রসুন খেলে ঠান্ডা লাগার সমস্যায় অনেক উপকার পাওয়া যাবে।

 

 

গরমজলের ভাপ - গরম জলের ভাপ নেয়া সর্দি, মাথা ব্যথা, নক বন্ধ ইত্যাদিসমস্যা খুব সহজেই নিরসণ করতে পারে। গরম পানির করে মাথারআউপরে একটি ভারী কাপড় দিয়ে কান দিয়ে গরম ভাপটা নিয়ে মুখ দিয়ে ছাড়লে নিমিষেই বন্ধ নাক খুলে যায় আর চট করেমাথা ধরাও চলে যায়। তাই মাথা ধরা নাক বন্ধেগরম পানির ভাপ খুবই উপকারী

 

 

মশলাচা -  সারাবছর সকালে ঘুম থেকে উঠে এক কাপ মশলাদারচা এক দিকে যেমনঘুমের জড়তা কাটিয়ে দিতে পারে অন্য দিকে পারে শরীরকে চাঙ্গা করে সারাদিনের নানা রকম কাজে উদ্দীপ্ত করতে। তাছারা এই চা  মাথা ধরা, গলা ব্যথা, সর্দি জ্বরে দারুণউপকারী কাজ করে। শীতকালে তো এই চাখুবই উপকারী পথ্য। সারাদিন / কাপমশলাদার চা খেলে সর্দি গলা ব্যথা কমে যায়। মশলা চা ছাড়াও লেবুচাও খুব উপকারী। শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ে। ফলে শরীর বিভিন্ন রকম ভাইরাসের আক্রমন মোকাবেলা করতে পারে এবং ধুলাবালি ঠান্ডায় শ্বাসনালীসংকোচিত হয়।  ফলেডাস্ট কোল্ড এলার্জিযাদের আছে তাদের শ্বাস কষ্ট হয়। কিন্তু এই মশলা চা লেবু চা খেলে এইসমস্যা দূর হয় এবল জমেথাকা কফ তরল হয়েবের হয়ে আসে।

 

 

 

অন্যান্য-

 

/ রোদ পোহানো - রোদ পোহানো শরীরের জন্য খুবই উপকারী। বিশেষজ্ঞদের মতে দিনের কিছুটা সময় অবশ্যই বড় ছোটসবারই রোদে  ঘন্টাখানেক থাকা উচিত। আর যাদের ঠান্ডারধাত আছে তাদের জন্য তো অবশ্যই। কারনরোদে থাকার সাথে শরীরে ভিটামিন - ডি তৈরির ব্যাপারজরিত। তবে সকালের দিকের রোদটা বেশি উপকারী।  বেলাহয়ে গেলে রোদের তাপ বাড়ে, তখন বেশিক্ষণ রোদে থাকাও অস্বস্তিকর।

 

 

/ নানা রকম ভর্তা -  কথায়আছে কালোজিরা প্রায় সকল রোগের ওষুধ। আর তাই সর্দি, কাশি হলে বা জ্বর হলেকালোজিরা ভর্তার দারুণ উপকারী।  এছারাওসরিষা ভর্তা, পেয়াজ মরিচের ভর্তাসাথে সরিষার তেল খেতে যেমন সুস্বাদু তেমনি সর্দি কাশিতে খুবই উপকারী। সর্দিতে নাক বন্ধ থাকলে এক নিমিশে নাকখুলে যায়।

 

 

প্রচুরপানি খাওয়া- জ্বর হলে গলা বুক বারবার শুকিয়ো যায়। এছাড়া কাশি হলে প্রচুর পানি পান করা উচিত। হালকা গরম পানি বারবার পান করলে ঠান্ডার সমস্যা দূর হয় এবং গলায়খুস খুসের সমস্যা দূর হয়। হালকা গরম পানি সামান্য লবন দিয়ে গারগেল করলে হলা পরিষ্কার হয়, ইনফেকশান গলায়,থাকলে দূর হয় এবং কাশিওকমে, গলা ব্যথাও কমে। তাই সর্দি, কাশি জ্বর হলেফলের রস, স্যুপ, লেবুও মধুর শরবত হালকা গরমপানি বারবার খেতে হয় এবং এগুলোবেশ উপকারীও।

 

 

/ তেল মালিশ করা - অতি প্রচীল কাল থেকেই শিশু জন্মের পর থেকে সরিষারগেলের মালিশের উপর জোর দেয়া হয়। যদিও এই তেল মালিশেরউপকারী ক্ষতিকর কোনপ্রভাবই নাই। অতি প্রচীন কাল থেকে তেল মালিশের উপর জোর দেয়া হয় তবে এগেবিশেষ উপকার হয় কিনা তারকোন বৈজ্ঞানিক ব্যাখ্যা নাই। তবে তেল মালিশে শরীর গরম থেকে। এতে সর্দি কাশি হবার সম্ভাবনা কম হয়।

 

 

যেকোন ঋতুর শুরু শেষের সময়টায়ঘরে ঘরে সর্দি, কাশি জ্বর লেগেইথাকে। বিশেষ করে বর্ষা শীত এইদুই ঋতুর শুরু শেষের সময়টায়শিশু থেকে শুরু করে বয়স্ক কম বেশি সবারইজ্বর, কাশি, গলা ব্যথা ইত্যাদি সমস্যা দেখা দেয়। সাধারণত নানা রকম ভাইরাস সংক্রামনে এই সমস্যাগুলো দেখাদেয়।  বিশেষকরে যাদের ঠান্ডায় এলার্জি রয়েছে তাদের মোটেও এই সর্দি জ্বরকেহেলা করা ঠিক না। কারন এই এলার্জি একসময় শ্বাস কষ্টের কারনও হয়ে যেতে পারে। তাই সমস্যা বৃদ্ধির পূর্বে বা ডাক্তারের কাছেযাবার আগেই ঘরোয়া টোটকা যথাযথভাবে প্রয়োগের মাধ্যমে খুব সহজেই রোগ নির্মূল করা সম্ভব।

 

 

বিভিন্নশিশু বিশেষজ্ঞদের মতে, যে সব শিশুরবয়স ছয় বছরের নিচেতাদের সামান্য অসুখে এলোপ্যাথিক না খাওয়াই ভালো।এর কারন হলো তারাতাড়ি সুস্থ হবার জন্য আমরা বাচ্চাদের নিজেরাও ডাক্তারেরশরনাপন্ন হই এবং অ্যান্টিবায়োটিকখাওয়া শুরু করি। এতে রোগ মুক্তি হলেও এর অনেক পার্শ্বপ্রতিক্রিয়াওআছে। কিন্তু ঘরোয়া টোটকায় কোন পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া নেই এবং সহজে সর্দি, কাশি, জ্বর, গলা ব্যথার মত রোগ থেকেমুক্তিও পাওয়া যায়।

 

 

মনেরাখা আবশ্যক জ্বর কিন্তু রোগের উপসর্গ মাত্র। ঋতু পরিবর্তন সর্দির কারনেযদি জ্বর আসে।  কিন্তিজ্বরের তাপমাত্রা যদি উঠানামা করে এবং অনেক দিন স্থায়ী হয় তবে দেরীনা করে অবশ্যই ডাক্তারের শরনাপন্ন হওয়া উচিত।



Post a Comment

0 Comments