ফলবা সবজি হিসেবে অনবদ্য “পেঁপে”
সারাবছরপাওয়া যায় এমন একটি ফল পেঁপে ।ফল ও সবজি উভয়হিসেবেই পেঁপে খাওয়া যায় । প্রাকৃতিক ফাইবারহিসাবে পুষ্টি এবং ভিটামিন এ, সি, এবংকে, যেমন নিয়াসিন, ম্যাগনেসিয়াম, পটাসিয়াম, প্রোটিন থাকার কারণে মানুষের কাছে পেঁপের এতো কদর। পাকা হোক বা কাঁচা, পেঁপেরঅসাধারণ কিছু উপকারিতা রয়েছে । চলুন , সেগুলোজেনে নিইঃ
যেবিষয় গুলো আলোচনা করা হয়েছে
- বদহজমদূর করেঃ
- দৃষ্টিশক্তিরক্ষা করেঃ
- কৃমিনাশকঃ
- কোলেস্টেরলনিয়ন্ত্রণ করেঃ
- অর্শও হৃদরোগ প্রতিরোধ করেঃ
- ব্রণেরদাগ দূর করেঃ
- ক্যান্সারপ্রতিরোধে ভুমিকা রাখেঃ
- বদহজমদূর করেঃ
পেটেযাদের বেশি গ্যাস হয় , বদহজম হয় তাদের ক্ষেত্রেপাকা পেঁপে খুবউপকারী । এটি হজমশক্তিবাড়ায় । পাঁকা পেপেখেলে মুখে রুচি বাড়ে, সাথে সাথে খিদে বাড়ে তাছাড়া পাঁকা পেপে কোষ্ঠ পরিস্কার করে এবং বায়ু নাস করে।
দৃষ্টিশক্তিরক্ষা করেঃ
চোখেরবয়সজনিত ঝুঁকি অনেকটাই কমে যায় প্রতিদিন তিনবার পেঁপে খেলে। অপথ্যালমোলজি আর্কাইভস প্রকাশিত একটি সমীক্ষা অনুযায়ী, বয়স্কদের মধ্যে দৃষ্টি ক্ষতির প্রাথমিক কারণ, প্রতিদিনের খাবারে তলনামূলক ভাবে কম পুস্টি গ্রহণকরা। আরপেঁপে তাদের চোখের জন্য ভাল , কেননা এর অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট ও ভিটামিনএ, সি, ও ই এরউপস্থিতির কারণে দৃষ্টিশক্তি প্রখর রাখে ।
কৃমিনাশকঃ
কৃমিনাশকহিসেবে সবচাইতে উত্তম হলো কাঁচা পেঁপের আঠা এবং বীজ । কাঁচা পেঁপেরআঠা চিনি বা বাতাসার সাথেমিশিয়ে খেলে অর্শ ও জন্ডিস সহলিভারের নানা রোগ ভালো হয়। ব্রন আচিল জিভের ঘায়ে এ আঠা লাগলেখুব উপকার হয়।
কোলেস্টেরলনিয়ন্ত্রণ করেঃ
পেঁপেতেআছে প্রচুর পরিমাণে ফাইবার। তাই কোলেস্টেরলের সমস্যায় যারা দুশ্চিন্তায় আছেন তাঁরা প্রতিদিনের খাবার তালিকায় পেঁপে রাখুন। অন্যান্য কোলেস্টেরল যুক্ত খাবারের বদলে পেঁপে খান। তাহলে আপনার কোলেস্টেরলের পরিমাণ নিয়ন্ত্রণে থাকবে।
নিয়োমিতপেপে খেলে অথেরোস্ক্লেরোসিস এবং ডায়াবেটিক হৃদরোগ প্রতিরোধ করে। পেঁপের ভিটামিন এ, সি এবংই, সমূহের এবং শক্তিশালী অ্যান্টিঅক্সিডেন্টস এর চমৎকার উৎস।এই তিনটি পুষ্টি কলেস্টেরল প্রতিরোধে সাহায্য করে, যা হার্ট এটাকও স্ট্রোক এর প্রধান কারণএক। পেঁপের এছাড়াও ফাইবার এর একটি ভালউৎস, যা উচ্চ কলেস্টেরলেরমাত্রা কমাতে সহায়তা করে। এ ছাড়াও পেপেঅর্শ রোগের ক্ষেত্রেও বেশউপকারি। কেননা , সহজে মলত্যাগ করতে পারায় পায়ুপথের বেদনা অনেকাংশেই হ্রাস পায় । আবার কাঁচাপেঁপের আঠা প্রতিদিন সকালে ৫- ৬ ফোটাবাতাসা’র সাথে মিশিয়েখেলে অর্শের রক্ত পড়া বন্ধ হয়।
ব্রণেরদাগ দূর করেঃ
ব্রণেরসমস্যা প্রায় সবারই থাকে। এসব ব্রণের কারণে মুখে খুব বাে ধরনের দাগ তৈরি হয়। এই বাজে দাগগুলোনিরাময় করতে পারে সুমিষ্ট এই ফলটি। মুখেরঅন্যান্য যেকোনো দাগ যেমন মেছতা, ফুস্কুরির দাগও খুব সহজেই দূর করে দিতে পারে।মুখের বিভিন্ন দাগ দূর করার পাশাপাশি পেঁপে ফলটি মুখের উজ্জ্বলতাও ফিরিয়ে আনতে সহায়তা করে।
পেঁপেতেপ্রচুর পরিমাণে অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট, বিটা ক্যারোটিন, ফ্লেভানয়েড, লুটেইন, ক্রিপ্টোক্সান্থিন আছে। এছাড়াও আরো অনেক পুষ্টি উপাদান আছে যেগুলো শরীরের জন্য খুবই উপকারী। এ উপাদানগুলোর মধ্যেফুসফুস ও অন্যান্য ক্যান্সারেরঝুঁকি কমায় “ক্যারোটিন” ।
0 Comments