ঢোকগিলতে সমস্যা হলে করণীয়
খাবারখেতে যেয়ে অনেক সময় ঢোক গিলতে সমস্যা হয়ে থাকে। যা বেশ কষ্টকর।এই সমস্যা পানি খেতে গেলেও হয়ে থাকে। অনেকেই জানেন না কেন এইসমস্যা হয়ে থাকে।
ইমপালসহাসপাতালের নাক, কান ও গলা রোগবিশেষজ্ঞ এবং সার্জন অধ্যাপক ডা. জাহির আল-আমিন বলেন, খাবার খাওয়ার সময় তা পাকস্থলীতে যায়এবং হজম শুরু হয়ে যায়। আর খাবার যখনহজম না হয়ে ওপরেরদিকে গলাতে উঠে আসে ও ঢোক গিলতেসমস্যা হয়; তখন তাকে রিফ্লাক্স বলে।
**** স্বরযন্ত্রও গলার রিফ্লাক্স
এরমানে হচ্ছে পাকস্থলীর খাবার ও তার এসিডস্বরযন্ত্র বা গলার মধ্যেউঠে আসে। এটা দিনে বা রাতে যেকোনোসময় হতে পারে।
যাদেররিফ্লাক্স থাকে তাদের সবার বুকজ্বালা বা হজমের অসুবিধানাও থাকতে পারে। যাদের স্বরযন্ত্র ও গলার রিফ্লাক্সথাকে তাদের অনেকেরই বুকজ্বালা থাকে না।
**** রিফ্লাক্সেরউপসর্গ
গলার স্বর বসে যাওয়া, গলা বারবার পরিষ্কার করা, গলার শ্লেষ্মা বৃদ্ধি পাওয়া, খাদ্য, পানি বা বড়ি গিলতেঅসুবিধা হওয়া, খাবার পর বা শোয়ারপর কাশি হওয়া, শ্বাস নিতে অসুবিধা বা শ্বাস বন্ধহয়ে যাওয়া ও কষ্টকর বাবিরক্তিকর কাশি।
এছাড়া গলার ভেতর কিছু আটকে থাকা বা গলার ভেতরটিউমারের মতো কিছু বোধ করা।
বুকজ্বলা, বুকব্যথা, হজমের অসুবিধা বা ঢেকুরের সঙ্গেটক পানি উঠে আসে। আর অনেক সময়গলায় টিউমারের মতো বাধা ও ঢোক গিলতেঅসুবিধা হওয়া।
এইরোগে বেশি সমস্যা হলে চিকিৎসা নেয়া উচিত। যাদের ওষুধে কাজ হয় না তাদেরক্ষেত্রে ‘এনিটি রিফ্লাক্স’ সার্জারি করতে হয় এবং যাদেরসার্জারি হয় তারা এলপিআরথেকে অনেক বছর সুস্থ থাকেন।
*** করণীয় ***
খাদ্যাভ্যাস বদলানো উচিত, যাতে রিফ্লাক্স কম হয় এবংওষুধ ব্যবহার করা যাতে পাকস্থলীর এসিড কম বের হয়।আর প্রয়োজনে সার্জারি করান, যাতে রিফ্লাক্স না হয়।
চিকিৎসকের পরামর্শ নিয়ে খাদ্যাভ্যাস পরিবর্তন, ধূমপান বর্জন, খুব টাইট জামাকাপড় না পরা, বিশেষকরে কোমরের দিকে ও খাবার পরপরইনা শোয়া।
এছাড়া স্বল্প চর্বিযুক্ত খাবার খাওয়া উচিত, মাখন, গরু ও খাসির মাংসনা খাওয়া, ভাজা-পোড়া কম খাওয়া, পনির, চকলেট ও পেস্ট্রি বর্জনকরা এবং লেবু জাতীয় পানীয় না পান করা।
আর অতিরিক্ত ওজনকমিয়ে ফেলা ও উত্তেজক পানীয়(মদ) না খাওয়া।
0 Comments