Shantanu Thakur: সব হোয়াটয়অ্যাপ গ্রুপ 'Left'! এবার ৫ 'বিক্ষুব্ধ' বিধায়কের সঙ্গে গোপন বৈঠকে সাংসদ শান্তনু?
রাজ্য বিজেপিতে জোর জল্পনা
নিজস্ব প্রতিবেদন: রাজ্য বিজেপিতে জারি 'হোয়াটসঅ্য়াপ বিদ্রোহ'। এবার রাজ্যের বিভিন্ন হোয়াটসঅ্যাপ গ্রুর ছাড়লেন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী তথা বনগাঁর সাংসদ শান্তনু ঠাকুর (Santanu Thakur)। দলের রাজ্য নেতৃত্বের বিরুদ্ধে একরাশ ক্ষোভ উগরে দিলেন তিনি। জানালেন, "বিজেপিতে আমি নিষ্প্রয়োজন"।
জানা গিয়েছে, রাজ্য বিজেপির যে যে গ্রুপে শান্তনু ঠাকুর (Santanu Thakur) ছিলেন, সেই সমস্ত গ্রুপ ছেড়ে বেরিয়ে গিয়েছেন। Zee ২৪ ঘণ্টাকে ফোনে কেন্দ্রীয় মন্ত্রী বলেন, "আমাক মনে হয়েছে বঙ্গ বিজেপিতে যাঁরা রয়েছেন তাঁদের আমাদের নিষ্প্রয়োজন। তাই বেরিয়ে এসেছি। আমাদের কোনও মূল্য নেই তাঁদের কাছে। আমি কেন্দ্রের কথা বলিনি। কেন্দ্রের থেকে সাইড হইনি।" এখানেই শেষ নয়, তাঁর পরবর্তী পদক্ষেপ সময় মতো জানাবেন বলেও ইঙ্গিত দিয়ে রেখেছেন বনগাঁর সাংসদ। এর আগে বিজেপির (BJP) হোয়াটসঅ্য়াপ গ্রুপ ছেড়ে বেরিয়ে যান বনগাঁ উত্তরের বিধায়ক অশোক কীর্তনীয়া,গাইঘাটার বিধায়ক সুব্রত ঠাকুর, হরিণঘাটার বিধায়ক অসীম সরকার, রানাঘাট দক্ষিণের বিধায়ক মুকুটমণি অধিকারী এবং কল্যাণীর বিধায়ক অম্বিকা রায়। সূত্রের খবর, মঙ্গলবার 'বিদ্রোহী' পাঁচ বিধায়কের সঙ্গে গোপন বৈঠক করতে পারেন শান্তনু ঠাকুর (Santanu Thakur)।
যদিও শান্তনু-সহ পাঁচ বিধায়কের এই 'বিদ্রোহ'কে আমল দিতে নারাজ রাজ্য বিজেপি সভাপতি সুকান্ত মজুমদার (Sukanta Majumder)। তিনি জানান, দলের অভ্যন্তরীন বিষয় আলোচনার মাধ্যমে মিটিয়ে নেওয়া হবে। বিজেপির সর্বভারতীয় সহ-সভাপতি দিলীপ ঘোষ জানান, "রোজ অনেক লোক গ্রুপ ছাড়ে। গ্রুপ নিয়ে বিজেপিতে কোনও রাজনীতি হয় না।" রাজ্য বিজেপির অন্দরের এই টালমাটাল পরিস্থিতিকে কটাক্ষ করেছেন রাজ্য়ের মন্ত্রী জ্যোতিপ্রিয় মল্লিক। তিনি বলেন, "মতুয়াদের নিয়ে নোংরা রাজনীতি করছে বিজেপি। শান্তনু সত্যি কথা বলছেন। তাঁর গায়ে যে হরিচাঁদ ঠাকুরের রক্ত রয়েছে, তা প্রমাণ করেছেন।"
তবে কি বিজেপি ছাড়তে চলেছেন শান্তনু ঠাকুর? প্রাক্তন সাংসদ মমতাবালা ঠাকুরের বক্তব্যে তৈরি হয়েছে জল্পনা। তিনি বলেন, "ওদের সৎ বুদ্ধির উদয় হোক। দলে নেওয়া হবে কি না, তা মমতা বন্দ্যোপাধ্য়ায় ঠিক করবেন। আমার একসঙ্গে কাজ করতে কোনও অসুবিধা নেই।"
0 Comments