যেসব খাবারে শিশুর স্মৃতিশক্তি বাড়ায়
সব অভিভাবকই চান তাদের সন্তানরা মেধাবী ও মেধাবী হোক। পুষ্টিকর খাবারের অভাবে শিশুর মানসিক বিকাশ বাধাগ্রস্ত হতে পারে। একটি পুনর্জন্ম শিশু পরবর্তীতে বিভিন্ন সমস্যায় ভুগতে পারে।
মস্তিষ্ক মূলত মানবদেহের অন্যান্য অংশের বিকাশ এবং সঠিক কার্যকারিতা নিয়ন্ত্রণ করে। তাই শৈশবকালে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ এই অঙ্গটির যথাযথ বিকাশ নিশ্চিত করা প্রয়োজন।
শিশুদের স্মৃতিশক্তি শক্তিশালী করতে তাদের খাদ্যতালিকায় কিছু খাবার যোগ করা যেতে পারে। এটি মস্তিষ্কের কার্যকারিতা উন্নত করবে এবং তাদের স্মৃতিশক্তি শক্তিশালী করবে।
ছোটবেলা থেকেই আপনার সন্তানের স্মৃতিশক্তি, একাগ্রতা এবং শেখার দক্ষতার উন্নতিতে মনোযোগ দিন। এ জন্য কয়েক ধরনের খাবারের সাহায্য নিতে পারেন। কিছু খাবার আছে যা আপনার শিশুর মস্তিষ্ককে সুস্থ রাখতে কাজ করবে।
ডিম প্রোটিনের খুব ভালো উৎস। এ ছাড়া ডিমের কুসুমে রয়েছে কোলিন, যা শিশুর স্মৃতিশক্তি বাড়াতে খুবই গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। ঘনত্বের উন্নতির পাশাপাশি ডিমের প্রোটিন, আয়রন, ওমেগা-৩ ফ্যাটি অ্যাসিড এবং কোলিন স্মৃতিশক্তি বাড়াতে পারে।
প্রতিদিন একটি আপেল আপনার শিশুকে দেওয়া যেতে পারে যা স্বাস্থ্যের জন্য খুবই উপকারী। আপেলের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ পুষ্টি উপাদান হল এর ফাইবার। যা নিয়মিত অন্ত্র পরিষ্কার করতে সাহায্য করে। আপেলে ভিটামিন এ এবং ই, ফোলেট, ফসফরাস, ম্যাগনেসিয়াম এবং সেলেনিয়াম রয়েছে। শিশুর খাদ্যতালিকায় আপেল রাখুন। এটি স্মৃতিশক্তি উন্নত করে এবং মস্তিষ্কের স্বাস্থ্য উন্নত করে
বাচ্চা-মাছ দিতে পারেন। মাছে ফ্যাটি অ্যাসিড থাকে। যা স্মৃতিশক্তি হ্রাস রোধ করতে পারে।
শিশুকে পালং শাক, ফুলকপি, বাঁধাকপিসহ বিভিন্ন সবজি দিতে পারেন। এর মধ্যে রয়েছে ফোলেট, ফাইবার, ভিটামিন এবং অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট। এই নতুন মস্তিষ্কের কোষগুলি বিকাশ করে।
শিশুকে প্রতিদিন কয়েকটি বাদাম দিন। কারণ বাদামে রয়েছে ভিটামিন ই, যা মস্তিষ্কের সমন্বয় করার ক্ষমতা বাড়ায়। কাজু, পেস্তা, চিনাবাদামসহ যেকোনো ধরনের বাদাম শিশুদের মানসিক বৃদ্ধিতে সহায়ক।
কলা এমন একটি ফল যাতে প্রচুর পরিমাণে স্টার্চি কার্বোহাইড্রেট বা শর্করা থাকে। সকালের নাস্তার কিছুক্ষণ পর হালকা নাস্তা হিসেবে একটি কলা খেলে তা আপনার শিশুকে সারা সকাল উজ্জীবিত রাখবে। ফলে তার যেকোনো কাজে মনোযোগ দেওয়ার ক্ষমতাও বাড়বে।
অভিভাবকরা সাধারণত বাচ্চাদের চকলেট খাওয়া নিয়ে চিন্তিত থাকেন। কিন্তু সব চকলেটই শিশুদের জন্য ক্ষতিকর নয়। ডার্ক চকোলেটে 75% কোকো থাকে যা শিশুর বুদ্ধিমত্তা ও বুদ্ধি বিকাশের জন্য উপকারী। ডার্ক চকোলেট মস্তিষ্কে নিউরন তৈরি করে যা নতুন জিনিস মনে রাখতে সাহায্য করে। এটি শিশুর পড়াশোনায় মনোযোগ বাড়ায় এবং মস্তিষ্ককে সতেজ রাখে।
0 Comments